আদম কপোলে হাত রাখিয়া আনমনা বিরস বদনে বসিয়াছিলো একটি দুগ্ধনহরের পাশে। গিবরিল একটি আমড়া চিবাইতে চিবাইতে আসিয়া কহিল, "আদম! তোমাকে উদাস দেখিতেছি যে বড়? কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় নাই?"
আদম দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া অদূরে বিশাল এক মলস্তুপ নির্দেশ করিলে তর্জনী বাগাইয়া।
গিবরিল চমকিয়া উঠিয়া কহিল, "ইহা ত পুরা ক্লোজাপ ওয়ান পারফরম্যান্স মালুম হইতেছে? ঘটনা কী? ইহার পরেও কি মন খারাপ থাকিতে পারে কারো?"
আদম মুখ গোঁজ করিয়া রহিল।
গিবরিল খোঁচাইতে লাগিল আর ঘ্যানঘ্যান করিতে লাগিল ঢাকাই সিনেমার ভাবীদিগের ন্যায়।
অবশেষে আদম মুখ খুলিল। "তুমি ত জান আমি ঈভের সাথে কুলাইয়া উঠিতে না পারিয়া একখানি উপন্যাস রচনায় হাত দিয়াছি?"
গিবরিল সোৎসাহে কহিল, "সেই যে ... কী যেন নামখানা? পবিত্র ... পবিত্র ...।"
আদম বিরক্ত হইয়া কহিল, "পবিত্র গ্রন্থ!"
গিবরিল কহিল, "হাঁ হাঁ, পবিত্র গ্রন্থ! খানিক পাঠ করিয়াছিলাম তোমার পান্ডুলিপি। আজগুবি কাহিনী ফাঁদিয়াছ। কীসব মহাপ্লাবন ... তিমি মৎস্যের পেটে কয়েদ যাপন ...।"
আদম দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া কহিল, "হুঁ! জমিয়াছিল।"
গিবরিল কহিল, "পাস্ট টেন্সে কহিলে কেন? কী হইয়াছে? উপন্যাস হারাইয়া গিয়াছে?"
আদম হঠাৎ ডুকরিয়া উঠিল। "পান্ডুলিপিখানা ত জমা দিয়াছিলাম আকাদেমিতে। শালার ব্যাটারা ছাপে না। খোঁজ করিতে কহিলো, ঈশ্বরের দরবার কার্যালয়ে পাঠানো হইয়াছে। কার্যালয়ে গেলাম, তাহারা অপিসেই আসে না। তালা ঝুলাইয়া মৌজ মারিতেছে কোন স্থানে।"
গিবরিল কহিল, "তারপর?"
আদম ফুঁসিয়া কহিল, "আজ স্বর্গের গ্রন্থমেলায় গিয়া দেখি, খোদাবক্স প্রকাশনীতে সেই গ্রন্থখানা শোভা পাইতেছে! উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখি, তাহা হুবহু আমার উপন্যাসখানি! রচয়িতা কে শুনিবে?"
গিবরিল কহিল, "কে সেই পাষন্ড তস্কর কুম্ভীলক?"
আদম কহিল, "ঈশ্বর!"
গিবরিল ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া কহিল, "এখন কী করিবে?"
আদম কহিল, "মকদ্দমা করিব। একটা হেস্তনেস্ত করিয়া ছাড়িব। যদি স্বর্গ হইতে খেদাইয়া দেয়, তবুও!"
[]
3 comments:
অতি জটিল!!! চালিয়ে যান!!! :D :D :D
আপনি যদি কিছু না মনে করেন তাহলে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি। আপনি কি ইতালি কিংবা ফ্রান্সে থাকেন?
মারহাব্বা মারহাবা...বিয়াফক...
Post a Comment