Tuesday, September 21, 2010

সদোম ও ঘমোরার পর

ঈশ্বরের দূতেরা সরজমিন পরীক্ষার উদ্দেশ্যে সদোমের উদ্দেশ্য রওনা হইলেন। সুন্দরী বিমানবালারা উদ্বিগ্ন মুখে তাহাদিগের জন্য রশ্মিনির্মিত মদ্য পরিবেশন করিল।

এক দূত বলিলেন, "ভ্রাতঃ, সদোম সম্পর্কে প্রচুর বদনাম শুনিতেছি। ঐস্থলে কী হয়?"

অপর দূত কহিলেন, "জানি না ভ্রাতঃ। শুনিয়াছি তাহারা খাচ্চর প্রকৃতির, কিন্তু ঠিক কী করিয়া বেড়ায় তাহা সম্পর্কে অবগত নহি।"

বিমানবালারা একে অপরের মুখের পানে চাহিয়া চুপ করিয়া রহিল।

সদোমে বিমান অবতরণের পর বিমান হইতে নামিতে না নামিতেই জনৈক সদোমবাসী আসিয়া স্বর্গদূতদের টিপিয়াটুপিয়া দেখিতে লাগিল।

স্বর্গদূতদ্বয় অবাক হইলেন।

সদোমবাসী চোখ টিপিয়া কহিল, "খাসা মাল! চল তোমরা আমার আড্ডায়। ভালোমন্দ দুইটি খাইয়া গিলিয়া পোন্দাপুন্দি করিব।"

স্বর্গদূতদ্বয় অতীব ক্রুদ্ধ হইয়া হনহন করিয়া আগাইয়া গেলেন।

হোটেলে চেক ইন করিতে না করিতেই দুই সদোমবাসী আসিয়া তাহাদের নিতম্বে হস্তক্ষেপ করিয়া চিমটি কাটিয়া বসিল। স্বর্গদূতদ্বয় আর্তনাদ করিয়া উঠিলেন।

স্নান সারিয়া ভাতের হোটেল খুঁজিতে বাহির হইবার পর একদল উচ্ছৃঙ্খল তরুণ সদোমবাসী আসিয়া তাহাদের উড়ুনি ধরিয়া টানিয়া একাকার করিল। অগ্নিশর্মা স্বর্গদূতেরা স্থানীয় ফোনের দোকান হইতে ঈশ্বরকে ফোন মারিয়া কহিলেন, "বস ইহারা অতীব দুষ্ট প্রকৃতির লোক। কেবল পোন্দাপুন্দি করিতে চায়।"

ঈশ্বর ঢেঁকুর তুলিয়া কহিলেন, "গোলি সে উড়া দো।"

স্বর্গদূতদ্বয় বিশেষ মারণাস্ত্র বাহির করিয়া সদোম ও ঘমোরা নিশ্চিহ্ন করিয়া পরের ফিরতি ফ্লাইট ধরিলেন।

স্বর্গ পর্যন্ত যাত্রা বিস্তর দীর্ঘ। ট্র্যানজিট লইতে হয় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে। স্বর্গদূতদ্বয় শ্রান্ত ক্লান্ত হইয়া নামিলেন।

টার্মিনাল পাল্টাইতে গিয়া তাহারা লক্ষ করিলেন, টার্মিনালের বাহিরে জটলা। দুই দল লোক জটলা পাকাইয়া কী যেন নারা তুলিতেছে।

এক স্বর্গদূত বলিলেন, "ভ্রাতঃ, এইরূপ পূর্বে কখনও দেখিয়াছ?"

অপর স্বর্গদূত বলিলেন, "না ভ্রাতঃ!"

তাহাদের মুখের কথা মাটিতে পড়িবার পূর্বেই নরক গুলজার হইল। আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখার পাণ্ডাসকল একে অপরের উপর গদাহস্তে ঝাঁপাইয়া পড়িল। উপস্থিত যাত্রী ও পুলিশবৃন্দ আতঙ্কে ছুটাছুটি করিতে লাগিল।

এবং দুই স্বর্গদূতকে ধরিয়া দুইদলের কে বা কাহারা উত্তমরূপে পোন্দাইয়া দিল। তাহারা শুধু ফিফি করিয়া কিয়ৎক্ষণ কাঁদিতে পারিলেন। প্রতিকার আর হইল না।

No comments: