Wednesday, September 20, 2006

আমি জনগণ বলছি ০১

আমার নাম জনগণ৷

কাশ, আমার গুহ্যদ্বার দুইটা থাকতো৷

না, মলত্যাগের জন্য নয়৷ ঐ কাজে আমার একটি গুহ্যদ্্বারই বরং অতিরিক্ত মনে হয়৷ পেটে ভাত নাই, হাগনবিলাস কি পোষায় আমার৷ ক্কচিত্‍ ক্কচিত্‍ চকিত তড়িত্‍ গতিতে ঐ কাজ সেরে ফেলি৷

একটা অতিরিক্ত গুহ্যদ্বারের জন্য আমার হাহাকার বহুদিনের৷ আপনারা তো আবার অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকায় থাকেন, নাহলে আমার কষ্ট বুঝতেন৷ একেবারে সেন যুগ থেকে হোগামারার উপরে আছি ভাই৷ এই যাহ, বাজে কথা বলে ফেললাম৷ একটা সাধু বাংলা বের করি ঐটার ... গুহ্যিকা ... কেমন শোনায়?

যা বলছিলাম, যুগে যুগে বহু শাসক এসে আমাকে গুহ্যিকা দিয়েছে উপর্যুপরি৷ মাঝে মাঝে যে ফোঁস করে উঠি নাই তা না, তবে বিষ না থাকলে ঐ চক্করই ভরসা৷

যা-ই হোক, পেছনের দিকে না তাকাই, কী আর বলবো ভাই, নিজের পেছনের দিকে তাকালেই কানতে ইচ্ছা করে৷ কান্দন আহে কান্দন৷

এখন আপনারা বলবেন, এতো আগে থেকে গুহ্যিকা খেয়ে আসতেছি, অতোদিনেও কেন অভ্যাস হয় নাই৷ ভাই রে, গুহ্যিকার আকার আয়তন আইক্কা-কোএফিশিয়েন্ট সবই বাড়ে দিনকে দিন৷ আগে গুহ্যিকা খেয়েও সামলায় নিতে পারতাম, ইদানীং কষ্ট হয় সাংঘাতিক৷ আমার রেক্টাম তো আর গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড না যে শতাব্দীর পর শতাব্দী খালি আসবেন যাবেন৷ আর কতো?

আরো একটা গুহ্যদ্্বার আমার লাগবে৷ কর্ণফুলি নদীর উপর এতোগুলি ব্রিজ তা-ও চট্টলাবাসী আরেকটার জন্য কান্দে, আর আমি জনগণ আমার সহস্রাব্দ পুরানা মডেলের গুহ্যদ্বার দিয়া আর কতো গুহ্যিকা খামু?

স্বৈরাচারী গুহ্যিকার ভার সামলাইতে না সামলাইতেই গণতন্ত্রী গুহ্যিকার ধার আমারে ছারখার করে ফেলছে৷ উনারা খালি দ্যান আর হাসেন৷ বলেন, ব্ল্যাক হোল তো, যা দিমু সব হজ্জম কইরা ফ্যালো৷ আর আমরা দিলেই চিল্লাও ক্যান, আমাগো আগে যারা আছিলো তারা কি জাম্বাক মাখাইছে নাকি তোমারে? তারাও তো গুহ্যিকার উপরেই রাখছিলো৷ অরা দিলে লীলা আর আমরা দিলেই বিলা, না? ঐসব চলবো না৷ দ্যাশে এখন গণতন্ত্র৷ যা দেই খাইয়া ফেলবা৷

কান্দন আহে কান্দন৷

আমার নাম ভাঙ্গায়া কিন্তু ব্যাবাকতে ফয়দা লুইটা লইতাছে৷ হাতে গুহ্যিকা লইয়া এক একজন হাসতে হাসতে কয়, জনগণ আমাগো চায়৷ ভয় নাই জনগণ, এই যে আমরা আসতেছি৷ উন্নয়ন হবে তোমাগো৷ আমি সিঙ্গল গুহ্যদ্বার নিয়া পইড়া পইড়া কোঁকাই আর শুনি৷ তারপর আবার গুহ্যিকা খাই৷ অ্যামনেই চলতে আছে৷

আর কতো? আমার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডরে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন না বানাইয়া কি অরা থামবো না? আবার শুনলাম থাইল্যান্ডে জলপাইরঙের গুহ্যিকা নাইমা পড়ছে রাস্তায়৷ শুইনা আমিও ডরাইছি৷

তাই কই ভাইছাব, একটা এক্সট্রা গুহ্যদ্বার লাগবো আমার৷ এই প্রাচীন একাকী নিঃসঙ্গ ফুটায় একের পর এক জাতীয়তাবাদী, জামাতীয়তাবাদী, আওয়ামীবাদী, সামরিকবাদী গুহ্যিকা খালি দিয়াই যাইবো আর দিয়াই যাইবো, এইটা চলবো না৷

কই ভাই প্রক্টলজিস্ট, হাত লাগান৷

No comments: